মাহবুব
মোর্শেদের ‘তোমারে চিনি না আমি’ উপন্যাস পড়া শেষ। এই উপন্যাসের প্রধান
চরিত্র রানা। এই চরিত্রের বর্ণনায় পাঠক তাকে লম্পট, যৌন আকাঙ্ক্ষায়
বিকারগ্রস্ত হিসেবেই আবিষ্কার করবে। প্রশ্ন আসতে পারে রানা কেন প্রধান
চরিত্র? লম্পট চরিত্রহীন কিভাবে নায়ক হয়ে ওঠে উপন্যাসের? এমন প্রশ্নে
ঘুরপাক খেতেই পারে পাঠক।
উপন্যাস কোনও নির্দিষ্ট গল্প ধরে এগোয় না। এমনকি পাঠক যখন উপন্যাস পড়া শুরু করবে তখন দেখা যাবে সব কিছু যেন দ্রুত ঘটে যাচ্ছে। পরিবার বিচ্ছিন্ন নি:সঙ্গ রানার দ্রুত বিয়ে হয়ে যাচ্ছে, সংসার ধর্মে চলে যাচ্ছে। তার পরিবারের সঙ্গে যেই দূরত্ব তৈরি হয়েছিল সেই দূরত্বও ঘুচে যাচ্ছে। তাহলে লেখক কোন দিকে চলবেন রানাকে নিয়ে?
পরে ধীরে ধীরে দেখা যাবে রানার যৌনতাকেই যেন প্রাধান্য দিচ্ছেন লেখক। একে একে হাজির হবে নারী চরিত্রগুলো। নারী চরিত্রগুলোর মধ্যে আছে- নুরুন্নাহার, লুৎফুন্নাহার, পপি, রোজ, মিথিলা। সবার প্রতিই তার যে আকাঙ্ক্ষা, প্রেম খোঁজার যে তীব্র বাসনা সেখানে যৌনতাই যেন বড় ভূমিকা রাখে। মাহবুব মোর্শেদের এই উপন্যাস আমাকে মনে করিয়ে দেয় সৈয়দ শামসুল হকের ‘খেলারাম খেলে যা’ উপন্যাসকে।
যাইহোক, এই উপন্যাসে আছে কবিতার সঙ্গে বোঝাপড়া। আছে এক লম্পট যুবক কবিতাকে ভালোবেসে হঠাৎ করে কিভাবে জড়িয়ে পড়ে রাজনীতিতে। সেখানেও সে ব্যর্থ হয়। এমনই দিকভ্রান্ত এক যুবকের কথনে তৈরি হয়েছে ‘তোমারে চিনি না আমি’।
প্রধান চরিত্র রানা একা হয়েও একা চলতে যেন পারে না। তার এগিয়ে যাওয়ায় ক্রমাগত প্রয়োজন পড়ে অন্যের কু-পরামর্শের। কেউ তাকে ব্যবহার করে, কখনও সে কাউকে ব্যবহার করে। হয়তো বা রানা সেচ্ছায় তাদের দ্বারা ব্যবহৃত হয়। যেমন, কামরুজ্জামান, দীপক, সরদার ক্রমাগত রানাকে ধাবিত করেছে এক বিচ্ছিন্ন জগতে। সবাইকে আপন মনে হয় রানার। কিন্তু আদতে কেউই কারও আপন নয়, সময়ের বাস্তবতায় সেটাই প্রমাণিত হয়। যদিও সবশেষ গুরু সরদার তাকে ঠিক কোন দিশা দিতে চেয়েছিল এ এক অস্পষ্ট বয়ান হিসেবেই উপন্যাসে থেকে যাবে।
স্মৃতির ভেতর ঢুকে চরিত্রটি যখন তাকে আবিষ্কারের চেষ্টা করতে থাকে– তখন বোঝা মুশকিল কোথায় যাবে রানা? কিংবা সে কোথায় যেতে চায়, কিংবা লেখক মাহবুব মোর্শেদ রানাকে কিভাবে হাজির করতে চায়? এমন প্রশ্ন থেকেই যাবে পাঠকের মনে।
এই উপন্যাসের সবচেয়ে বড় মন্দ দিক হলো, একটি পজিটিভ চরিত্র হাজির হয়নি। যদিও রানার স্ত্রী নাজনীনকে কিছুটা মন্দ কথার বাইরে রেখেছেন লেখক। কিন্তু এই চরিত্রটি প্রকাশিত হয়নি।
‘তোমারে চিনি না আমি’ উপন্যাস। মাহবুব মোর্শেদের প্রথম উপন্যাস ‘ফেস বাই ফেস’। বলতে হয়, প্রথম উপন্যাসের মাহবুব মোর্শেদ এখানে অন্যরকম। ‘ফেস বাই ফেস’ পড়ে রোমাঞ্চিত হয়েছিল পাঠক কিন্তু উল্টোটাই হবে 'তোমারে চিনি না আমি' উপন্যাসে।
ফেসবুক লিঙ্ক
উপন্যাস কোনও নির্দিষ্ট গল্প ধরে এগোয় না। এমনকি পাঠক যখন উপন্যাস পড়া শুরু করবে তখন দেখা যাবে সব কিছু যেন দ্রুত ঘটে যাচ্ছে। পরিবার বিচ্ছিন্ন নি:সঙ্গ রানার দ্রুত বিয়ে হয়ে যাচ্ছে, সংসার ধর্মে চলে যাচ্ছে। তার পরিবারের সঙ্গে যেই দূরত্ব তৈরি হয়েছিল সেই দূরত্বও ঘুচে যাচ্ছে। তাহলে লেখক কোন দিকে চলবেন রানাকে নিয়ে?
পরে ধীরে ধীরে দেখা যাবে রানার যৌনতাকেই যেন প্রাধান্য দিচ্ছেন লেখক। একে একে হাজির হবে নারী চরিত্রগুলো। নারী চরিত্রগুলোর মধ্যে আছে- নুরুন্নাহার, লুৎফুন্নাহার, পপি, রোজ, মিথিলা। সবার প্রতিই তার যে আকাঙ্ক্ষা, প্রেম খোঁজার যে তীব্র বাসনা সেখানে যৌনতাই যেন বড় ভূমিকা রাখে। মাহবুব মোর্শেদের এই উপন্যাস আমাকে মনে করিয়ে দেয় সৈয়দ শামসুল হকের ‘খেলারাম খেলে যা’ উপন্যাসকে।
যাইহোক, এই উপন্যাসে আছে কবিতার সঙ্গে বোঝাপড়া। আছে এক লম্পট যুবক কবিতাকে ভালোবেসে হঠাৎ করে কিভাবে জড়িয়ে পড়ে রাজনীতিতে। সেখানেও সে ব্যর্থ হয়। এমনই দিকভ্রান্ত এক যুবকের কথনে তৈরি হয়েছে ‘তোমারে চিনি না আমি’।
প্রধান চরিত্র রানা একা হয়েও একা চলতে যেন পারে না। তার এগিয়ে যাওয়ায় ক্রমাগত প্রয়োজন পড়ে অন্যের কু-পরামর্শের। কেউ তাকে ব্যবহার করে, কখনও সে কাউকে ব্যবহার করে। হয়তো বা রানা সেচ্ছায় তাদের দ্বারা ব্যবহৃত হয়। যেমন, কামরুজ্জামান, দীপক, সরদার ক্রমাগত রানাকে ধাবিত করেছে এক বিচ্ছিন্ন জগতে। সবাইকে আপন মনে হয় রানার। কিন্তু আদতে কেউই কারও আপন নয়, সময়ের বাস্তবতায় সেটাই প্রমাণিত হয়। যদিও সবশেষ গুরু সরদার তাকে ঠিক কোন দিশা দিতে চেয়েছিল এ এক অস্পষ্ট বয়ান হিসেবেই উপন্যাসে থেকে যাবে।
স্মৃতির ভেতর ঢুকে চরিত্রটি যখন তাকে আবিষ্কারের চেষ্টা করতে থাকে– তখন বোঝা মুশকিল কোথায় যাবে রানা? কিংবা সে কোথায় যেতে চায়, কিংবা লেখক মাহবুব মোর্শেদ রানাকে কিভাবে হাজির করতে চায়? এমন প্রশ্ন থেকেই যাবে পাঠকের মনে।
এই উপন্যাসের সবচেয়ে বড় মন্দ দিক হলো, একটি পজিটিভ চরিত্র হাজির হয়নি। যদিও রানার স্ত্রী নাজনীনকে কিছুটা মন্দ কথার বাইরে রেখেছেন লেখক। কিন্তু এই চরিত্রটি প্রকাশিত হয়নি।
‘তোমারে চিনি না আমি’ উপন্যাস। মাহবুব মোর্শেদের প্রথম উপন্যাস ‘ফেস বাই ফেস’। বলতে হয়, প্রথম উপন্যাসের মাহবুব মোর্শেদ এখানে অন্যরকম। ‘ফেস বাই ফেস’ পড়ে রোমাঞ্চিত হয়েছিল পাঠক কিন্তু উল্টোটাই হবে 'তোমারে চিনি না আমি' উপন্যাসে।
ফেসবুক লিঙ্ক
No comments:
Post a Comment