গত
কয়েক দিন ধরে ম্যাক্সিম গোর্কির নানা প্রবন্ধ পড়ছিলাম। পড়তে পড়তে মনে হল,
গোর্কি রাজনৈতিক দর্শনের বেলায় খুব অস্থির প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। কিন্তু
মৌলিক সৃষ্টিশীলতায় দার্ঢ্য মননের। আরো মনে হলো, আমি প্রবন্ধ যত দ্রুত পড়তে
পারি, কবিতা/গল্প/ উপন্যাস তত দ্রুত পড়তে পারি না। ফলে সময় লাগে। সময় দিয়ে
পড়া লাগে। ম্যাক্সিম গোর্কির শেষকৃত্যের একটা ছবি মাথা থেকে কোন ভাবে
ফেলতে পারছি না ক'দিন ধরে।। সেটা হলো- গোর্কির কফিন বহন করছিলেন সেই দেশের
রাষ্ট্র প্রধান জোসেফ স্তালিন। দুনিয়ায় এমন সৌভাগ্যবান লেখক নেই বললেই চলে,
যাদের কফিন খোদ রাষ্ট্র প্রধান বহন করেছেন।
১
সম্প্রতি বাংলাদেশি লেখকদের ৩ খানা বই উল্টিয়ে দেখার সুযোগ হয়েছিল। বই ৩টি হলো আবদুল করিম/ মুহাম্মদ এনামুল হকের ' আরাকান রাজসভার বাঙ্গালা সাহিত্য', নূরুল কবীরের 'কথকতা' ও মাহবুব মোর্শেদের ' তোমাকে চিনি না আমি'। প্রথম বইটি ঐতিহাসিক। নানা কারণেই। কারণ সপ্তদশ শতাব্দীতে আরাকানে মুসলমানের হাতে বাংলা সাহিত্যের বিকাশ হয়। মজার ব্যাপার হলো- আরাকানী সাহিত্যের ধরন বৈষ্ণব সাহিত্যের ন্যায়। পদাবলীর মতো পদ-বিন্যাস, সহজ ভাব আর গীতলতার লালিত্যে ভরা। বইটি দৌলত কাজী থেকে দোনা গাজীর একটা সজল রূপ। বইটি পড়ে আনন্দ পেয়েছি বেশ।
৩
চিন্তাবিৎ নূরুল কবীর আমার পছন্দের মানুষ। স্পষ্টভাষী বলে ওনার খ্যাতি বিস্তর। যাক সে কথা! কবীর ভাই 'কথকতা' বইটা উপহার দিয়েছেন। এটি বিভিন্ন সময় নানাজনকে দেয়া সাক্ষাৎকারের একটা সংকলন। মূলত সাক্ষাৎকারে তিনটি বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। যথা- মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র ও বুদ্ধিজীবীতা। স্বাধীন রাষ্ট্র জন্মাবার পর আমাদের দেশে বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ খুব বেশি হয়েছে বলে মনে হয় না। স্বাধীন দেশে বুদ্ধিজীবীতার দিশা সাহিত্যিক/অধ্যাপক/ সাংবাদিকরাই দিয়েছেন। কিন্তু আস্তে আস্তে সেটা চলে যায় আমলাতন্ত্র আর এনজিও কর্মকর্তাদের হাতে। সে এক দুখুমাখানো সুশীল সংবাদ! সেটা অন্যকথা! কিন্তু নূরুল কবীরের বইটা নিয়ে কোথাও কোন আলোচলা-সমালোচনা দেখলাম না। নীরবতা দিয়ে জ্ঞানকে কখনো ঢেকে রাখা যায় না। এটা নিশ্চয়ই বুঝদাররা বুঝবেন।
৪
মাহবুব মোর্শেদ আমার অনুজ-বন্ধু। সেদিন আমাদের আরেক বন্ধু বললেন, মাহবুব আপনাকে নিয়ে এমন সমালোচনা করেছেন, তারপরও দেখি আপনি তাকে পছন্দ করেন! বললাম, সাহিত্যের আনন্দটা নেন। সাহিত্য সাহিত্যই। তার দ্বিতীয় উপন্যাস 'তোমারে চিনি না আমি' প্রকাশিত হয়েছে। বইটাও মাহবুব উপহার দিয়েছে। দ্বিতীয় উপন্যাসে সে খানিক ফেলে আসা দিনগুলোতে থিতু হয়েছে। উপন্যাসে আছে নায়কের স্বপ্ন আর বাস্তবের ফারাক। মূলত আড়ালের এক রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা। সেটা একটা সময়কালের। আর বেশি বলব না। তার ভাষা সহজ, সরল নয়। যা ভাবকে ধারণ করতে পারে। আনন্দদায়ক ব্যাপার।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
#সাখাওয়াত_টিপু
ইন্দিরা রোড, ঢাকা
ফেসবুক
১
সম্প্রতি বাংলাদেশি লেখকদের ৩ খানা বই উল্টিয়ে দেখার সুযোগ হয়েছিল। বই ৩টি হলো আবদুল করিম/ মুহাম্মদ এনামুল হকের ' আরাকান রাজসভার বাঙ্গালা সাহিত্য', নূরুল কবীরের 'কথকতা' ও মাহবুব মোর্শেদের ' তোমাকে চিনি না আমি'। প্রথম বইটি ঐতিহাসিক। নানা কারণেই। কারণ সপ্তদশ শতাব্দীতে আরাকানে মুসলমানের হাতে বাংলা সাহিত্যের বিকাশ হয়। মজার ব্যাপার হলো- আরাকানী সাহিত্যের ধরন বৈষ্ণব সাহিত্যের ন্যায়। পদাবলীর মতো পদ-বিন্যাস, সহজ ভাব আর গীতলতার লালিত্যে ভরা। বইটি দৌলত কাজী থেকে দোনা গাজীর একটা সজল রূপ। বইটি পড়ে আনন্দ পেয়েছি বেশ।
৩
চিন্তাবিৎ নূরুল কবীর আমার পছন্দের মানুষ। স্পষ্টভাষী বলে ওনার খ্যাতি বিস্তর। যাক সে কথা! কবীর ভাই 'কথকতা' বইটা উপহার দিয়েছেন। এটি বিভিন্ন সময় নানাজনকে দেয়া সাক্ষাৎকারের একটা সংকলন। মূলত সাক্ষাৎকারে তিনটি বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। যথা- মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র ও বুদ্ধিজীবীতা। স্বাধীন রাষ্ট্র জন্মাবার পর আমাদের দেশে বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ খুব বেশি হয়েছে বলে মনে হয় না। স্বাধীন দেশে বুদ্ধিজীবীতার দিশা সাহিত্যিক/অধ্যাপক/ সাংবাদিকরাই দিয়েছেন। কিন্তু আস্তে আস্তে সেটা চলে যায় আমলাতন্ত্র আর এনজিও কর্মকর্তাদের হাতে। সে এক দুখুমাখানো সুশীল সংবাদ! সেটা অন্যকথা! কিন্তু নূরুল কবীরের বইটা নিয়ে কোথাও কোন আলোচলা-সমালোচনা দেখলাম না। নীরবতা দিয়ে জ্ঞানকে কখনো ঢেকে রাখা যায় না। এটা নিশ্চয়ই বুঝদাররা বুঝবেন।
৪
মাহবুব মোর্শেদ আমার অনুজ-বন্ধু। সেদিন আমাদের আরেক বন্ধু বললেন, মাহবুব আপনাকে নিয়ে এমন সমালোচনা করেছেন, তারপরও দেখি আপনি তাকে পছন্দ করেন! বললাম, সাহিত্যের আনন্দটা নেন। সাহিত্য সাহিত্যই। তার দ্বিতীয় উপন্যাস 'তোমারে চিনি না আমি' প্রকাশিত হয়েছে। বইটাও মাহবুব উপহার দিয়েছে। দ্বিতীয় উপন্যাসে সে খানিক ফেলে আসা দিনগুলোতে থিতু হয়েছে। উপন্যাসে আছে নায়কের স্বপ্ন আর বাস্তবের ফারাক। মূলত আড়ালের এক রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা। সেটা একটা সময়কালের। আর বেশি বলব না। তার ভাষা সহজ, সরল নয়। যা ভাবকে ধারণ করতে পারে। আনন্দদায়ক ব্যাপার।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
#সাখাওয়াত_টিপু
ইন্দিরা রোড, ঢাকা
ফেসবুক
PlayOJO | The online casino games & entertainment
ReplyDeleteDiscover a world of limitless fun with PlayOJO. Play 온카지노 the most popular casino games and enjoy worrione the septcasino most popular slot games!