সকাল বেলা মোটর সাইকেল সার্ভিসিং দিলাম। বাসা থেকে আসার সময় মাহবুব মোর্শেদের তোমারে চিনি না আমি উপন্যাসটা নিয়া আসলাম। ভাবলাম মোটর সাইকেল সার্ভিসিং চলবে আমিও উপন্যাসটা শেষ করে ফেলবো।
কিছুক্ষন পর জানলাম মোটর সাইকেল কাজ শেষ হতে সিরিয়ালে ৪টা বাজবে। ততক্ষণে ২৯ পৃষ্টা পর্যন্ত পড়েছি। অফিসে চলে এলাম। এগারটার দিকে গ্যরেজ থেকে ফোন দিলো আমি মোটর সাইকেল তালা দিয়ে চাবি নিয়ে চলে এসেছি। এরপর ১টার দিকে আবার গেলাম।
এবার তাদেরকে চাবি দিয়ে লাঞ্চ শেষে আবারও পড়তে শুরু করলাম। শেষের দিকে এসে বাইক সার্ভিসিং শেষ। তাদের অফিস বন্ধ হওয়ার সময়। আমার হাতে আর ১২/১৩ পৃষ্টা বাকী। দুই তিনবার আমারে ডাকলো শোনেও না শোনার ভান করে পড়তেছি। ম্যনাজার বললো আস্তে আস্তে সব গোছাও উনার পড়া শেষ হোক। একবার বললো বাইক ট্রায়াল দেন। আমি বললাম তোমি ট্রায়াল দিয়ে আসো আমি কাজটা শেষ করি।
মাহবুব মোর্শেদের গল্পের প্রতি আকর্ষণ জন্মেছে সর্পরাজের গল্প, রুখসানার হাসবেন্ড, দেহ এই গল্প গুলো পর থেকেই। গল্প টানে সামনের দিকে। তাই বলে এতো বড়ো উপন্যাস লিখতে হবে। তবে তারপরও ২০৮ পৃষ্টার উপন্যাস শেষ করলাম কোন প্রকার বিরক্তি ছাড়াই। অনেক দিন পর কোন উপন্যাস একটানা শেষ করলাম।
বইটার শেষ পর্যন্ত পড়া উচিত। প্রথম দিকে রানা কে যা মনে হয় শেষটায় তা নয়। এটা জানতে হলে বইটা পড়তে হবে। রিভিউ লিখবো, ইচ্ছা আছে। আপাতত তোমারে চিনি না আমি পড়তে গিয়ে বিচিত্র অভিজ্ঞতার কথা জানালাম মাত্র।
ফেসবুক
No comments:
Post a Comment